যৌন হয়রানির শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
বখাটে কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- পঞ্চগড় পৌরসভার কামাতপাড়া এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব (১৯) ও একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে নজরুল ইসলাম জনি (৩২)।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের রোববার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আজ সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ বছর আগেও স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই ছাত্রীকে হাবিব ও জনি উত্ত্যক্ত করতো এবং অশালীন কথা বলতো; এমনকি পরনের কাপড় ধরেও টানা হেঁচড়া করতো। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানানো হলে তারা ক্ষমা চেয়ে তাদের ছেলেকে বাঁচিয়ে নেয়।
সূত্র জানায়, ৩ মাস আগে হাবিব বাড়িতে এসে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ওই ছাত্রীর নামে মিথ্যা বদনাম ছড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে তাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামের লোকজন ও তার বাবা-মা বাড়িতে এসে তাকে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মিথ্যা বদনাম দিয়ে পৌরসভায় বিচার দিলে বিচারে যায় ভুক্তভোগীর পরিবার। কিন্তু বিচার সম্পন্ন না হওয়ায় সোমবার (২ নভেস্বর) আবারো বিচারের তারিখ দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে রোববার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েকে আসামি জনি ও হাবিব আবার টানা হেঁচড়া করে। সেইসঙ্গে অশালীন কথা বলে।
এ অপমান সইতে না পেরে মেয়ে রাতেই নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।