প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভূমিহীনদের ঘর পেলেন বিত্তবানরা

গরিবদের দেয়া ঘর পেয়েছেন ২০ শতাংশ জমির ওপর বিল্ডিং তুলতে যাওয়া আনোয়ার মোল্লা।
গরিবদের দেয়া ঘর পেয়েছেন ২০ শতাংশ জমির ওপর বিল্ডিং তুলতে যাওয়া আনোয়ার মোল্লা।  © টিডিসি ফটো

ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলের অধীনে ‘জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পে এবার নাম মিললো স্বচ্ছল এক ভবন মালিকের। বরিশাল জেলার উজিরপুরে উপজেলার শোলক ইউনিয়নের উত্তর ধামুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

ইতোমধ্যে বহুতল ভবন মালিক ওই গ্রামের ছত্তার মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লার বাড়িতে ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের ঘর নির্মানের জন্য ইট-বালু-সিমেন্ট ও রড পৌঁছে গেছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন ভবন মালিক আনোয়ার মোল্লা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনতি বিশ্বাস।

জানা গেছে, শোলক ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রফিক সরদার ঘুষের বিনিময়ে বিভিন্ন বিত্তশালীকে অতিদারিদ্রের প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি উত্তর ধামুরার সাবেক ইউপি সদস্য করিম সরদারের পুত্র। একই গ্রামের বাসিন্দা চন্দনী বেগম, সুফিয়ান, আনোয়ার মোল্লা ।

অভিযোগ রয়েছে, আনোয়ার মোল্লার বাড়িতে সরকারি ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড পৌঁছে গেছে। অথচ চলতি বছরের শুরুতে ধামুরা এলাকার বিত্তবান ছত্তার মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা ২০ শতাংশ জমির ওপরে নিজ খরচে বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার যেহেতু ঘরের জিনিসপত্র দিয়েছে এখন আমার ইট-বালু-সিমেন্ট আর কিনতে হবে না।

বিষয়টি অনিয়ম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উজিরপুরে গরিব নেই। সে কারণে তিনি পেয়েছেন। তবে অভিযুক্ত রফিকুল সরদারের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুষ নিয়ে বিভিন্নজনকে অতিদারিদ্রের প্রাপ্য সরকারি অনুদান বেহাত করছেন রফিক সরকার। তবে বিষয়গুলো ওই ইউনিয়নে আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে নিজেকে জনসম্মুখে আনছেন না।

ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কাজী হুমায়ুন কবির জানান, হতদরিদ্রদের ঘর কোন ক্রমেই স্বচ্ছল ব্যক্তিরা পাবে না। কিন্তু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজেশ করে স্থানীয় কিছু দুর্নীতিবাজ এমন কাজ করে থাকেন। আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে জেনে দেখবো। সত্যিকারের দুর্নীতি হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


সর্বশেষ সংবাদ