সাভারে রাবি ছাত্রকে হত্যায় জড়িত দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
সাভারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) নৃসংশভাবে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার আজাদ শরীফ (২৯) এবং সাভারের ডগরমোড়া এলাকার রনি ওরফে ডগি রনি (৩০)। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী ছিলেন, তাদের ছুরিকাঘাতেই প্রাণ হারান মোস্তাফিজ।
সাভারের রাজাশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব-৪-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে জড়িতদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা।
গত শনিবার সাভারের শিমুলতলায় বাস থেকে নামার পর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন রাবির দর্শন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সাভারের গ্লোরিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার নওয়াপাড়া গ্রামে।
স্ত্রী খাদিজা বেগম ও ছেলে মুসাকে নিয়ে সাভারে থাকার জন্য বাসাও ভাড়া করেছিলেন মোস্তাফিজ। তবে সন্তানের জ্বর থাকায় পরিবার ছাড়াই ঢাকায় ফেরেন তিনি। গ্রাম থেকে ঋণ করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় ফেরেন মোস্তাফিজ। তবে ছিনতাইকারীরা সেই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ায় তাদের পিছু নেন তিনি।
ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, তিন ছিনতাইকারী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে তৎপর হয় পুলিশ, র্যাব ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর সাভার মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা মজিবুর রহমান।