‘বাবা তুমি বলেছ রাস্তায় পড়ে মরতে, তবুও...’

  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় ফারজানা খাতুন (২০) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পুড়াপুটিয়া গ্রামে স্বামীর নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।

জানা যায়, দুই মাস আগে সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পুড়াপুটিয়া গ্রামের ওসমান গনির ছেলে মাহমুদ হাসানের (২২) সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফারজানার। নিহত ফারজানা একই উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। আত্মহত্যার পূর্বে তার মৃত্যুর জন্য বাবাকে দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে যান তিনি। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নববধূর নিজ গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মেনে নেয়নি তার পরিবার। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে তাই এ আত্মহত্যা। লাশের সঙ্গে পাওয়া চিরকুটের লেখায় সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ফুলপুর থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার পর সে স্বামীর বাড়িতে আসতে রাজি হয়নি। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সাফ জানিয়ে দেয় সে। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে বুঝিয়ে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরিবারের এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে রবিবার বিকেলে দরজা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ফারজানা।

খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এদিকে লাশের পাশে তার হাতের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের সঙ্গে পাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘কেউ কোনো দিন কারও সাথে রিলেশন করলে শেষে আমার মতো হতে বাধ্য হবে। আর বাবা তুমি বলেছ রাস্তায় পড়ে মরতে তবুও আমার বাড়ি থাকতে পারবি না, সে জন্য এটা করতে হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ