ছিনতাইয়ের সময় রাবি ছাত্রের হত্যার দৃশ্য সিসি ক্যামেরায়

ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে
ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে  © সংগৃহীত

গ্রামের বাড়ি থেকে সাভারের সিআরপি এলাকায় নিজ কর্মস্থলে ফিরছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। বাস থেকে নেমে একটু এগিয়ে যেতেই একদল ছিনতাইকারীর আবির্ভাব। এসময় মোস্তাফিজের সব ছিনিয়ে নিতে চায় তারা।

তাদের হাত থেকে বাঁচতে দৌঁড় দেন মুস্তাফিজ। এসময় তাকে ধাওয়া করে ছিনতাইকারীরা। ঘটনাস্থলে মুস্তাফিজের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি তাকে আঘাতে করে হত্যা করা হয়। আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে পাশের একটি বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায়।

জানা গেছে, মোস্তাফিজের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর নওয়াপাড়া গ্রামে। কাজ করেন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকায়‌ গ্লোরিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করে মোস্তাফিজুর গত এক বছর আগে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

মোস্তাফিজুরের সহকর্মী সৌখিন আজিজ জানান, গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আসতে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। তবে কোনো কারণে তারা আসেননি। ফলে ফেরেন একাই। ভোরে গাড়ি থেকে নামার কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইকারীর হামলার শিকার হন। 

এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পায়নি পুলিশ। পরে পাশের একটি বাড়িতে সিসি ক্যামেরা দেখতে পেয়ে সেখানে যায় বাহিনীটি। ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটিই রেকর্ড হয়েছে জানতে পেরে তারা রেকর্ডটি নিয়ে আসে।

ফুটেজে দেখা যায়, মুস্তাফিজকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা কালো রঙের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন তিন যুবক। ফুটেজ পর্যালোচনা করে খুনিদের শনাক্তের চেষ্টার কথা জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।

তিনি জানান, ভোরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সিআরপি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানায় একজন। ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের ধারে যুবকের মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। মরদেহের পাশে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ