১৯ অক্টোবর ২০২০, ২২:১৮

শহীদ মিনার ভাঙচুর: আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন মৌসুমি কেকা ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু  © সংগৃহীত

ঝালকাঠি সুগন্ধা পৌর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও শহর বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা মন্ডল বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কারের জন্য প্রস্তাবিত) শারমীন মৌসুমি কেকা ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপুসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আদালতের বিচারক এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দিলে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক রীতা মন্ডল মামলার অভিযোগপত্রে বলেন, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তরপূর্ব কর্নারে ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে পাঁচলাখ টাকা ব্যয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শহীদ মিনারে ছাত্রী ও শিক্ষকরা প্রতি বছর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন।

গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়া শারমীন মৌসুমি কেকা, আনিসুর রহমান তাপু ও ফতেমা শরীফের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ১২-১৪ জন ব্যক্তি সুগন্ধ্যা পৌর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা শহীদ মিনার ভাঙার কারণ জানতে চাইলে ও বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা তাদের পিস্তল ও দেশিয় অস্ত্র দেখিয়ে সরে যেতে বাধ্য করেন।

বাদীর আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার একটি গুরত্বপূর্ণ স্থাবর সম্পত্তি। আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে ইচ্ছাকৃতভাবে ভাষা আন্দোলন আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার ভাঙচুর করে মারাত্মক অপরাধ করেছে, যা দ্রুত বিচার আইনে বিচারযোগ্য বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমি কেকা ও বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান তাপুর বিরুদ্ধে এক নারীকে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলা দায়েরের পরপর ক্ষমতাসীন দল থেকে শারমিন মৌসুমি কেকাকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় কেকাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সুপারিশ করা হয়।