পারিবারিক কলহ, মাকে ‘শিক্ষা’ দিতে শিশুকে খুন
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর এলাকায় মাঠের পাশের একটি পরিত্যক্ত শৌচাগার থেকে ছয় বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই এলাকায় মাঠের পাশের একটি পরিত্যক্ত শৌচাগার থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটির নাম সানজিদা খাতুন (৬)। সে সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর এলাকার সোহাগ হোসেনের মেয়ে। বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশের জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুর এক স্বজনকে আটক করা হয়। আটক স্বজন পারিবারিক কলহের জেরে শিশুর মাকে ‘শিক্ষা’ দিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, ঘটনার পরপরই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও আতিকুর রহমান (সদর সার্কেল) ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করেন। একটানা নয় ঘণ্টা কাজ শেষে রাত তিনটার দিকে তাঁরা নিশ্চিত হন, শিশুটির কিশোরী স্বজন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাকে বাড়ি থেকে আটক করে রাতেই থানায় নেওয়া হয়।
শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন বলেন, সানজিদা দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু পরে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে থাকেন। বিকেল পর্যন্ত না আসায় স্থানীয় হরিনারায়ণপুর বাজারে মাইকিং করা হয়। তারপরও কেউ সন্ধান দিতে পারেনি। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর এলাকার কয়েকজন খবর দেন, বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে শিশুটির লাশ পড়ে আছে।
পুলিশের দাবি, ওই কিশোরী তাদের বলেছেন যে শিশুটির মায়ের সঙ্গে তার ও তার মায়ের পারিবারিক কলহ চলছে। সানজিদার মাকে শিক্ষা দিতেই এই হত্যার পরিকল্পনা করে সে। ঘটনার দিন বিকেলে চানাচুর কিনে খাওয়ার জন্য সানজিদাকে নিয়ে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ভূমি কার্যালয়ে যায়। সেখানে দুজন মিলে চানাচুর খায়। এরপর শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করে কিশোরী বাড়িতে ফিরে যায়।