সিঁদ কেটে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেলেন দুই সন্তানের জনক

সিঁদ কেটে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেলেন দুই সন্তানের জনকের
সিঁদ কেটে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেলেন দুই সন্তানের জনকের  © সংগৃহীত

সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছেন একই এলাকার দুই সন্তানের জনক এক ব্যক্তি। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মুজুরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) গভীর রাতের এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানার জয়নগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত লাভলু (৩৮) একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে ।

এদিকে, ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বোয়ালমারী থানায় লাভলুর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ওই কিশোরী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে শুক্রবার রাতে প্রতি দিনের মতো ঘুমিয়ে ছিল। মেয়ের কক্ষের বাইরে তালা দিয়ে একই ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন বাবা-মা।

বাবা-মা সকালে ঘুম থেকে উঠে মেয়ের কক্ষের দরজার তালা খুলে দেখতে পায় ঘরে নেই। কাঁচা ঘরে দক্ষিণ পাশে সিঁদ কাটা দেখে ধারণা করে দুর্বৃত্তরা মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এ অপহরণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কথা হয় কিশোরীর বাবার সঙ্গে। তিনি জানান, স্কুলে যাতায়াতের পথে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের মোসলেম শেখের ছেলে দুই সন্তানের জনক লাভলু শেখ (৩৮)। লাভলু শেখের স্ত্রী সৌদিপ্রবাসী।

এ ঘটনা কিশোরী তার অভিভাবকদের জানালে বিষয়টি লাভলুর পরিবারকে জানান। এতে লাভলু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীসহ পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

দুই মাস আগে রাতে ছাত্রী টয়লেটে গেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন লাভলু। ওই সময় ভুক্তভোগী পরিবারটি সোচ্চার হয়েও মান-সম্মানের ভয়ে বিষয়টি চেপে যান। ১৬ অক্টোবর গভীর রাতে সিঁদ কেটে ওই ছাত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান লাভলু।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাহাউদ্দীন বাহার বলেন, লাভলু খুব দুর্ধর্ষ। অনেকদিন ধরে পরিবারটিকে হেনস্তা করছে লাভলু। আমি একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো কাজ হয়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

বোয়ালমারী থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান বলেন, যখন নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন চলছে ঠিক সেই মুহূর্তে এমন অপরাধ মেনে নেয়া যায় না। সরেজমিন তদন্তপূর্বক ওই কিশোরীকে উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই নজরুল ইসলামকে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জয়নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এজাহার পেয়েছি, তদন্ত চলছে। ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ