ভর্তির কথা বলে ৩ মাস ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাদরাসাশিক্ষক!
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গোপন কক্ষে আটকে রেখে তিন মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকার একটি নির্জন তালাবদ্ধ ঘর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান খুলনার কসবা উপজেলার উত্তর বেতকাশি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে শ্রীপুরের ধলাদিয়ার রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ধলাদিয়া মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
র্যাব-১ এর গাজীপুর ক্যাম্পের কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ছাত্রীর পরিবারটি হতদরিদ্র। কম খরচে থাকা-খাওয়াসহ মাদরাসায় ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীটিকে ধলাদিয়া এলাকায় নিয়ে যায় শিক্ষক আনাদুজ্জামান। পরে মাদরাসায় ভর্তি না করে ওই এলাকার একটি নির্জন বাড়ির গোপন ঘরে বন্দি রেখে হত্যার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ছাত্রী ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে ওই শিক্ষক। ছাত্রীর বাবা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মেয়ের খোঁজখবর জানতে চাইলে মেয়ে ভালো আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে অনেক ব্যাস্ত আছে বলে জানায়। এভাবে প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলে বাবার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন আগে মাদরাসায় গিয়ে বাবা জানতে পারেন মেয়ে সেখানে নেই। ভর্তি করা হয়নি। এর পর তিনি মেয়ে উদ্ধারের জন্য র্যাব-১ কার্যালয়ে এসে লিখিত অভিযোগ করে আইনগত সাহায্য কামনা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে সালনা শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার এবং তার দেওয়া তথ্যে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করা হয়।