১৪ অক্টোবর ২০২০, ২১:০৩

মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

অভিযুক্ত ধর্ষক মাও. মো. ইউসুফ সোহাগ  © সংগৃহীত

কুমিল্লার চান্দিনায় ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাও. মো. ইউসুফ সোহাগকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।

মাও. মো. ইউসুফ দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলাম এর ছেলে। তিনি চান্দিনাস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ইমাম এবং চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডে দারুল ইহসান তাহফিজুল কোরআন কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ২০১৯ সালে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ওই মাদ্রাসায় আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মানবাধিকার কর্মী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারকে বিষয়টি জানাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ওই শিক্ষকসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেন।

মাদ্রাসাছাত্রী জানায় মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় গত এক মাস আগে ইউসুফ হুজুর আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি বিষয়টি অভিভাবককে জানাতে চাইলে তিনি আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখান। পরবর্তীতে তিনি সুযোগ পেলেই আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করতো। মঙ্গলবার আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যায়।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখনই জানতে পেরে ওই মাদ্রাসাশিক্ষকসহ মেয়েটিকে থানায় এনেছি। বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।