১২ অক্টোবর ২০২০, ২২:২৪

বাসে তুলে দেয়ার কথা বলে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও, দুলাভাই গ্রেফতার

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন

শেরপুরে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে ভিডিও করার অভিযোগে মুন্না খাঁন (২৬) নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মুন্না খান শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আবদুছ ছামাদ খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্না খানের শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর। গত সাত অক্টোবর তার স্ত্রীর সিজারে বাচ্চা হয়। বোনের দেখাশোনা করার জন্য মুন্না তার বিবাহিত শ্যালিকাকে (১৯) শেরপুর আসতে বলেন। শ্যালিকা এসে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের শাপমারী গ্রামের দুলাভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। দুদিন থাকার পর তিনি ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাকে ঢাকা পর্যন্ত ছেড়ে দেবেন বলে গতকাল রোববার সকালে গাড়িতে করে শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুরের বাসায় নিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, এদিন সকাল থেকে তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয়। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন মুন্না। এ সময় সে হুমকি দেয়, ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টানেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। নিরুপায় হয়ে ওইদিন রাতে শ্যালিকা ৯৯৯ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ রাজবল্লভপুরের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষক মুন্নাকে আটক করে।

শেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, অন্তঃসত্ত্বা বড়বোনকে দেখাশোনা করার জন্য কিছু দিন আগে ওই শ্যালিকাকে খবর দিয়ে ফরিদপুর থেকে আনা হয় শেরপুরে। গত ৭ অক্টোবর বড়বোনের বাচ্চা হওয়ার পর রোববার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল শ্যালিকার। ঢাকার বাসে তুলে দেয়ার জন্য রোববার সকালে শেরপুর টাউনের রাজবল্লভপুর মহল্লার বাসায় নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে দুলাভাই মুন্না খান।