পাপিয়ারা দেশের জন্য বিপজ্জনক: আদালত
অস্ত্র মামলায় দু’টি পৃথক অভিযোগে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদলত জানিয়েছে, তারা দুজন রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন না, বরং দেশের জন্য তারা ‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ ছিলেন।
সোমবার ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ বলেন, শামিমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন সজ্জন রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তাদের বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়, যার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। এত টাকা থাকার কোনো যুক্তিও থাকতে পারে না।
তিন বলেন, এরা তথাকথিত রাজনীতিবিদ। নিজেদের প্রাপ্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণে তারাতো নিয়োজিত ছিলেনই না বরং দেশের জন্য তারা মারাত্মক বিপজ্জনক ছিলেন। যে কোনো অন্যায় কাজে লাগানোর জন্য তারা তাদের খাটের তোষকের তলায় একটি বিদেশি পিস্তল দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি রেখেছিলেন।
এর আগে শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দুই ধারায় ২০ বছর ও সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত। ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আরিফুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। মামলায় ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।