এবার ভিডিওবার্তায় নির্যাতনের কথা জানালেন নোয়াখালীর আরেক গৃহবধূ
সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার একই জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছেন।
এ ঘটনায় ভিডিওবার্তা প্রকাশের পর শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গৃহবধূর স্বামী জয়নালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাড়িতে গেলে মারধর করে আহত করেন তাঁর স্বামী জয়নাল। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে গুম-খুনের হুমকি দেয়া হয়েছিল। লিখিত অভিযোগের ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় নির্যাতিতাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এরপর ভিডিওবার্তা প্রকাশের পর পুলিশ শুক্রবার বিকেলে আসামি জয়নালকে গ্রেফতার করে।
ভিডিওবার্তায় তিনি জানান, ২০১৫ সালে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের মৃত মনির আহম্মেদের ছেলে জয়নাল আবেদিনের (৩৭) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন জয়নাল আগে আরো একটি বিয়ে করেছেন এবং ওই ঘরে দুটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের তিন মাস পর থেকে ব্যবসা করার নাম করে ৮০ হাজার টাকাও নেন জয়নাল।
এছাড়াও গত এক বছর ধরে তাকে যৌতুকের দাবিতে জয়নাল আবেদিন ও তার বড় ভাই মাঈন উদ্দিন (৪০), জসিম উদ্দিন (৪৩), মাঈন উদ্দিনের ছেলে তারেক (১৯) একাধিকবার মানসিক নির্যাতন করেন।
তিনি আরো জানান, গত তিন-চার মাস তার পরিচিত লোকের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে রাত কাটাতে বাধ্য করার চেষ্টা করেন। এতে রাজি না হলে শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। মেয়ের ওপর এমন নির্যাতনের খবর পেয়ে তার মা মেয়েকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে গেলে অভিযুক্তরা তাকেও পিটিয়ে আহত করেন। পরে কৌশলে তারা জয়নালের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে চরজব্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় চরজব্বার থানার পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল জানান, অভিযোগ ৭ অক্টোবর করা হলেও কিছু ভুল থাকায় শুক্রবার তা সংশোধন করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেলে অভিযুক্ত আসামি জয়নালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।