০৫ অক্টোবর ২০২০, ২০:০৯

নোয়াখালীতে এবার কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ  © প্রতীকি ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে ধর্ষিতা কিশোরীসহ ৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃতরা হলেন- বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯), মুছাপুর ২নং ওয়ার্ডের রইসল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৯), রামপুর ৭নং ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস (২৩) ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নসিমন চালক মহি উদ্দিন (৩৫)।

ওই কিশোরী জানান, সে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। ওই খানে থাকা অবস্থায় ইমন তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাস যোগে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাসস্টান্ডে নিয়ে আসে তাকে।

সে জানায়, সেখান থেকে ইমনের সহযোগী সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস অটোরিকশা নিয়ে এসে তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে সাইফুলের বাড়ির একটি টিনের ঘরে ইমন তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

স্থানীয়রা জানায়, সাইফুলের বাড়ির একটি ঘর থেকে রাতে এক নারীর গোঙরানির শব্দ পেয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, রাতে এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় এলাকার লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।