এবার মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, সুপার পলাতক
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার একটি আবাসিক মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে (১৩) দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার (প্রধান) পালিয়ে গেছেন। তাকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। মাদ্রাসাটি মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নে অবস্থিত।
মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, ওই কিশোরী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী হওয়ায় সপ্তাহের ছয় দিন সে মাদ্রাসায় থাকত। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি নিয়ে যেতেন এবং শনিবার সকালে পৌঁছে দিতেন। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
সূত্র আরও জানায়, গত রবিবার ভোর পাঁচটায় ফজরের নামাজের আগে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল কাদের কিশোরীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে কিশোরীকে আবারও নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী সোমবার সকালে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। পরে ওই সহপাঠী তার বাবাকে জানালে ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে ধরতে ব্যাপক অভিযান চলছে।