র্যাবের তল্লাশির সময় সটকে পড়ার চেষ্টা করেন দেলোয়ার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার মামলার আসামি দেলোয়ার র্যাবের বাসে তল্লাশির সময় সটকে পড়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানা যায়।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল আলম বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হাইওয়েতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। গভীর রাতে আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমরা চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছিলাম। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা দেলোয়ার হোসেন দেলোয়ারকে ধরতে সক্ষম হই। তৎক্ষণাৎ তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাক্সিম এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ঢাকা জেলার কামরাঙ্গী চর এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় আত্মগোপন করে থাকাবস্থায় মামলার এক নম্বর আসমি বাদলকে আটক করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণের পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিসহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন, প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। বাদলকে ঢাকা থেকে ও দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে রোববার আব্দুর রহিম (২২) ও মো. রহমত উল্যাহ নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।