ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন আবরারের বাবা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনার আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) জবানবন্দি দেন হত্যা মামলার বাদী ও আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এসময় এজাহারের বক্তব্য সমর্থন করে তিনি জবানবন্দি প্রদান করে ছেলে হত্যার ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একপর্যায়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আসামিরা আমার ছেলেকে ছয় ঘণ্টা ধরে অমানবিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আদালতে হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই।’
গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন আবরারের বাবা জন্ডিসে আক্রান্ত থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ৫ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আবরার ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে নেন। পরে রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জন রয়েছেন।