০৫ অক্টোবর ২০২০, ১২:২৯

কোচিং সেন্টারে আটকে খালাতো বোনকে লাগাতার ধর্ষণ শিক্ষকের

ইনসেটে ধর্ষণে অভিযুক্ত তারেকুর রহমান এবং প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি কোচিং সেন্টারে আটক রেখে নিজের খালাতো বোনকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তারেকুর রহমান নামে ওই শিক্ষক নিজের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া খালাতো বোনকে ধর্ষণ করেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় রবিবার (৪ অক্টোবর) কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩নং আদালতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা অভিযুক্ত শিক্ষকসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। সেটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম শুনানির পর চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া আদালত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আদেশ দিয়েছেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন জানিয়েছেন। অভিযুক্ত তারেকুর রহমানের বাড়ি উপজেলার লহ্মীপুর গ্রামে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লহ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন, তারেকুরের ভাই তৌফিকুর রহমান, তৌহিদুর রহমান ও রমজান আলী ভূঁইয়া।

মামলার এজাহারে জানা যায়, কোচিং সেন্টার ছুটির পর সেখানে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারেকুর। ধর্ষণের ছবিও ধারণ করে রাখে সে। পরে ছবি ইন্টারেনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে সে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসারও চেষ্টা করা হয়। তখন তারেকুর সন্তান প্রসবের পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই ছাত্রী সন্তান প্রসব করলে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় তারেকুর। পরে ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন।