রাজশাহীতে বিয়ের কথা পাকা করতে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ
রাজশাহীতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিয়ের কথা পাকা করতে গিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ অক্টোবর) তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম তাজমুরাদ ওরফে লিটন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগে অফিস সহকারী–কাম–কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন তিনি। লিটনের বাড়ি তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকায়।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার বলেন, লিটন তাঁর শাখার একজন কর্মচারী। তবে তার গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে গিয়ে একা পেয়ে লিটন ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছেন। পুলিশ জানায়, ওই তরুণীও সিটি করপোরেশনে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার বিকেলে লিটন মেয়েটির বোনের বাড়িতে যান।
সেখানে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে লিটন দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা খোলার ব্যবস্থা করেন। মেয়েটি বের হয়ে জানান, লিটন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
পরে সেখানে গিয়ে তাঁদেরকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েটির বড় বোন একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে লিটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এজাহারে বলা হয়েছে, বিয়ে পাকা করতে গিয়ে একা পেয়ে লিটন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।