০৪ অক্টোবর ২০২০, ২০:০৫

নগ্ন করে দফায় দফায় তরুণীকে যৌন নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

ভিডিও থেকে ছবিটি নেয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক তরুণীর সঙ্গে মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে। অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ঘরে ঢুকে তাকে নগ্ন করে দফায় দফায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বখাটেরা। এসময় বখাটেরা ওই ঘটনার ভিডিও চিত্রও ধারণ করে রাখে।

ঘটনার একমাস পর আজ রবিবার (৪ অক্টোবর)  নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে। এর আগে গত মাসের ২ তারিখ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

নুর ইসলামের মেয়ের (ভিকটিম) সাথে তার স্বামীর পারিবারিক বিরোধ থাকায় তেমন বনাবনি ছিল না। এই সুযোগে স্থানীয় বখাটেরা তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে তিনি রাজি না হওয়ায় বখাটেরা ঘটনার দিন রাতে তার ঘরে ঢুকে নগ্ন করে নির্যাতন করে। 

অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। যার কারণে ঘটনাটি স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থেকে যায়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে লজ্জায় আত্মগোপনে চলে যায় ভুক্তভোগীর পরিবার। বর্তমানে নির্যাতিতা ওই পরিবারের বসত ঘরে তালা ঝুলছে।

স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ আজ রবিবার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে। আটককৃত আব্দুর রহীম (২৭) একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধুকে দলবেধে ধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে গণধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। তাই ঘটনার একমাস অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারুন উর রশীদ জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের ঘরে তালা ঝুলায় সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের কাউকে পাওয়া গেলে এ ঘটনার বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে নেমেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।