হাইকোর্টে পৌঁছেছে মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। আজ রোববার (৪ অক্টোবর) রায়ের কপিসহ নথিপত্র হাইকোর্টে নিয়ে যান বরগুনা আদালতের জারিকারক জাহাঙ্গীর আলম পিকু।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। হাইকোর্টে তা আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল করতে পারেন।
নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেপারবুক প্রস্তুত করবে। পরে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত বলে ধরা হয়। তবে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেও পেপারবুক তৈরি হতে পারে।
বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। বাকি চারজনকে খালাস দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, আসামিরা সাত কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পেয়েছেন মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নি প্রধান সাক্ষী থাকলেও পরে আসামি হন। ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ১৬ জুলাই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। গত ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।