ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার(২ অক্টোবর) রাতে নিহত তিন্নীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসিন হোসেন জানান, মেধাবী ছাত্রী তিন্নীর মৃত্যুর ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৫-৬ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তিন্নীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
পরে তারা অভিযান চালিয়ে শেখপাড়া গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে আমিরুল, খলিল শেখের ছেলে নাইম ও লাবিবসহ ৪ জনকে আটক করেছেন। তবে মামলার প্রধান আসামি জামিরুল এখনও পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বড় বোন মিন্নীর সাবেক স্বামী একই গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে জামিরুল তিন্নীদের বাড়িতে দু’দফা প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুর ও তিন্নীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর রাত ১২টার দিকে শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নীর নিথর দেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা।
এ ঘটনায় তিন্নির মা হালিমা বেগম জানান, আমার মেয়ে খুবই মেধাবী। বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিল। ঘটনার দিন সে সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়ায় এক বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে জামিরুলের হুমকির শিকার হয়। আমাদের সন্দেহ তিন্নিকে পাশবিক নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।