কলেজছাত্রীর চুল কাটা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

পুলিশের হাতে আটক রবিউল ইসলাম
পুলিশের হাতে আটক রবিউল ইসলাম  © সংগৃহীত

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার নিয়ামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীর (১৮) মাথার চুল কেটে, অশ্লীল ছবি তুলে ইন্টারনেটে প্রচারের হুমকির মামলায় আরেক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল।

আটক আসামি হলেন, উপজেলার বালাহৈর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০)। এর আগে এই মামলার প্রধান আসামি রায়হান ও তার স্ত্রী রূপাকে আটক করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের সহকারি পরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ী তার বন্ধুর বাসা থেকে রবিউলকে আটক করি। রবিউল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও ভিডিও ফুটেজে ঘটনার সময় তাকে উপস্থিত দেখা গেছে। রবিউলকে আজ জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেচে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ৫টায় বালাহৈর বখাটে রায়হান তার ভাড়া বাড়িতে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রায়হান ও তার স্ত্রী মাথার চুল কেটে, মারধর করে ও অশ্লীল ছবি তোলে।

ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, ‘রায়হান এক মাস ধরে আমাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতো। গত রবিবার বেলা ৩টা হতে ৪টা পর্যন্ত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে নিয়ামতপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল হোসেনের নিকট প্রাইভেটের টাকা দিতে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছে যাই। এসময় রায়হান ও তার তিন বন্ধু আমাকে জোরপূর্বক তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। দেড় ফুট লম্বা মাথার চুল কেটে ফেলে এবং আমার অশ্লীল ছবি তুলে। এসব কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমাকে দুই ঘণ্টা ঘরে আটকে রেখে আমার পর্নছবি তোলে সন্ধ্যা ৭টার পরে থানায় নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। পরে আমার নানা থানায় এসে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত ১২টায় শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রায়হান বলে, ওই ছাত্রী গত তিন চার দিন আগে আমার বাসায় এসে আমার স্ত্রী রূপাকে একটি ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেয়। সে দিন রাজশাহী গিয়েছিলাম। আমি বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী রূপা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সেদিন ওই ছাত্রীকে খুঁজছিলাম। গত রবিবার বেলা ৫টায় তাকে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছে পেলে তাকে আমার স্ত্রীর কাছে নিয়ে যাই। আমার স্ত্রী তাকে চিহ্নিত করে। সে সময় তার অভিভাবকে ডাকতে বলি। সে অভিভাবকে না ডাকায় আমার স্ত্রী তাকে সামান্য চড় থাপ্পড় দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়। এতে পরবর্তীতে আর কোনও খারাপ কাজ করতে না পারে।


সর্বশেষ সংবাদ