মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে: বাবা
বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, ‘আমার সঠিক বিচার পাইনি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কিন্তু মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়।বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকালেই কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে বিচারক আদালতে আসেন। এ মামলায় চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এর আসামি যুবকরা পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে আরও অপরাধ করার সুযোগ পাবে। এজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পেয়েছেন মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন। এর মধ্যে মো. মুসাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা।
ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।