ভেতরে রায় পড়ছেন জজ, বাইরে দোয়া-দরুদ পড়ছেন আসামির স্বজনরা
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে রায় পড়া শুরু হয়। এদিকে সকাল ৯টায় বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের সঙ্গে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। কিশোর দাবি করেছেন, ন্যায় বিচার পেলে তার মেয়ে মিন্নি নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
মামলার আসামিদের মধ্যে রিফাতের স্ত্রী ও মামলার অন্যতম আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি সবার আগে আদালতে হাজির হয়েছেন। তিনি আজ বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে আদালতে উপস্থিত হন। আদালত প্রাঙ্গণে রয়েছেন তার কয়েকজন স্বজনও।
এ মামলার রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য দিনগুলোর মতো আজ আদালতে ঢুকতে পারেননি আসামিদের স্বজনরা। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে আসামিদের মুক্তির জন্য দোয়া-দরুদ পড়ছেন স্বজনরা।
মামলার আসামি কামরুল ইসলাম সাইমুনের বাবা মো. লিটন বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তার জন্য আদালতে সাফাই সাক্ষীও দেয়া হয়েছে। আজ তার ভাগ্য নির্ধারণ হবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি- যাতে সাইমুন খালাস পায়। আমার ছেলে আসলেই নির্দোষ। আমি তার মুক্তির জন্য সবার দোয়া চাই।
আসামি সাগরের বাবা আবদুল হাই বলেন, আমার ছেলেও নির্দোষ। ঘটনার সময় আমার ছেলে ঘটনাস্থলে ছিল না। আদালতে ঢুকতে পারিনি। তাই বাইরে দাঁড়িয়ে ছেলের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। এছাড়া আর কিছুই করার নেই আমার।
রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরজুড়ে পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মহরম আলী বলেন, রিফাত হত্যার মামলার রায়কে ঘিরে আদালত চত্বরে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। মামলার বাদীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত চত্বরের পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তল্লাশি করা হচ্ছে।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হ