ভুয়া ইনডেক্স ব্যবহারে অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত
জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগে রাজধানীর টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মোহসীন হোসেনের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে কেন তার এমপিও বাতিল করা হবে না তা জানাতে ৭ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জারি করে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল কাদের স্বাক্ষরীত ওই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মহসীন হোসেন ভুয়া ইনডেক্স ব্যবহার করে এমপিওভুক্ত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিও স্থগিতের নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও স্থগিত করা হয়।
আরও বলা হয়, অধ্যক্ষ ড. মো. মহসীন হোসেন ভুয়া ইনডেক্স ব্যবহার করে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এমপিওবিহীন অবস্থায় ফরিদপুর সিটি কলেজে ৭ বছর এবং ঢাকায় ক্যাব্রিয়ান কলেজে ৫ বছর চাকরি করেছেন।
জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগের পর গত নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হন অধ্যক্ষ ড. মো. মহসিন হোসেন। যথাযথ যোগ্যতা না থাকার পরও তাকে রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশের আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অনুমতি দেন।
সে আলোকে একই বছরের ৩০ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু তিনি যে এমপিওভুক্তির ইনডেক্স ব্যবহার করেছেন তা ভুয়া। আসাদুল হক নামের আরেক শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর তিনি ব্যবহার করেছেন। তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে এমপিওর আবেদন করলে আবেদন ফিরিয়ে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এমপিও না দেয়ায় উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন মহসীন। পরে, এমপিওভুক্ত হন।
ওই কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে এমপিওর আবেদনে ইনডেক্স নম্বর দেননি তিনি। পরে যখন এমপিওর ইনডেক্স নম্বর চাওয়া হয় তখন তিনি এমপিও শিট জমা দেন। তবে সেটি অন্য জনের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।