এমসি কলেজে ধর্ষণ: ছেলের শাস্তি চান রবিউলের বাবা
সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত রবিউলের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তাঁর ছেলে দোষী হলে তার শাস্তি দেয়া হোক, এটা তিনিও চান। তিনি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে নেই। এছাড়া তাঁর ছেলে এমন কাজ করেননি বলে এখনও মনে করেন তিনি।
আজ সোমবার রবিউলের বাবা জানান, তাঁর পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। রবিউল পড়াশোনার জন্য ২০১৪ সালে সিলেটে যান। সিলেট নগরে প্রথমে তাঁর নানার বাড়িতে থাকতেন। পরে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ওঠেন।
সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নদগীপুর গ্রামে তার বাড়ি। মামলার ৫ নম্বর আসামি তিনি। এর আগে রোববার রাতে পুলিশ হবিগঞ্জের নবীনগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের নিজআগনা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এমসি কলেজে পড়াশোনা করেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
তার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রবিউল মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে বোরো ধান কাটার সময়। তাঁর চলাফেরায় পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করতে পারেনি সে এমন কাজ করতে পারে। আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমার এক কথা, আমি কোনো অন্যায়ের সাথে নেই। সে (রবিউল) দোষ করলে সাজা হোক। আর যদি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তাহলে আল্লাহ আছেন।’
জানা গেছে, সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার মামলা এবং আরেকটি ছিনতাই মামলারও আসামি রবিউল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এ ঘটনায় দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার (রবিউলের) বিরুদ্ধে সিলেট থেকে পাঠানো দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে এসব মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।