স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতার সহযোগীও গ্রেফতার
সিলেটে মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে সহযোগিতা করায় আইনুল নামে আরেক যুবককেও গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে গ্রেফতারের পর তাকেও গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব ও ডিবি সূত্র জানায়, সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাত ১টার দিকে রাজনের সহযোগী আইনুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।
তাদের মধ্যে তারেক ও অর্জুন শিক্ষার্থী না হলেও সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।