সাহসী নারীর পুরস্কার পেলেন বরিশালের লাইজু
ছিনতাইয়ের আসামি গ্রেফতারে সহায়তা করার মাধ্যমে অপরাধ দমনে পুলিশকে সহায়তা করার স্বীকৃতিস্বরুপ লাইজু বেগমকে পুরস্কৃত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এর কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার।
রোববার বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ অডিটোরিয়ামে মাসিক কল্যাণ সভায় ও নারীকে সম্মাননা প্রদান করেন তিনি।
লাইজু বেগম (৪২) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন দেহেরগতি ইউনিয়নের উত্তর বাহেরচর এলাকার মো. আমির হোসেনের স্ত্রী।
গত ২৩ আগষ্ট ভোরে লঞ্চে ঢাকা থেকে বরিশাল লঞ্চ ঘাট নেমে রহমতপুর মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন লাইজু বেগম । প্রায় ২০ মিনিট পরে রিকশা চালক মো. ছালাম কাশীপুর মহামায়ার পোলসংলগ্ন এলাকার একটি কালভার্টের ওপর হঠাৎ রিকশা থামায়। এর কারণ জানতে চাইলে রিকশা চালক লাইজু বেগমকে খুনের ভয় দেখিয়ে তার গলা চেপে ধরে এবং তার সঙ্গে থাকা মালামাল ছিনিয়ে নেয়। ওইসময় লাইজু বেগম ভয়ে চিৎকার করলে রিকশাচালক তাকে ধাক্কা দিয়ে ময়লা-আবর্জনার ড্রেনের মধ্য ফেলে দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী লাইজু স্থানীয়দের সহযোগিতায় অন্য একটি রিকশায় রহমতপুর তার মেয়ের বাড়িতে পৌছান এবং মেয়েকে ঘটনাটি জানান। ওইদিন দুপুরেই লাইজু বেগম তার মেয়েকে নিয়ে রিকশাচালককে খুঁজতে বরিশাল আসেন।
অনেক খোঁজাখুজির পরে রিকশাচালককে বিবির পুকুরের পাড়ে দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেন। থানার এসআই বশিরসহ তার টিম রিকশাচালককে আটক করে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন।
আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর এয়ারপোর্ট থানার সহায়তায় রিকশাচালক ছালাম হাওলাদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাইজু বেগমের ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে বিএমপি এয়ারপোর্ট থানা কর্তৃক ছিনতাইকারী মো. আ. ছালামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত রিকশা জব্দ করা হয়েছে ।