২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪৩

চিকিৎসকের আইসিটি মামলায় কারাগারে যুবক

আইসিটি মামলায় অভিযুক্ত রাসেল বিল্লাল  © সংগৃহীত

মানববন্ধন করে এবং ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের করা মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার কর পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্তের নাম রাসেল বিল্লাল।

রোববার বিকেলে সদর আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রাসেল বিল্লাল।

এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে দুপুরে শহরের মহিষখোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর রাসেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মশিউর রহমান বাবু বাদী হয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার বাদী ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, গত ৩০ আগস্ট রাতে নড়াইল পৌর এলাকার রায়পুর-উজিরপুর এলাকা থেকে চার বছরের একটি শিশুকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর হাসপাতালের নারী চিকিৎসকের নেতৃত্বে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তবে তার মধ্যে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ এবং ‘টিম তারুণ্য-১০০’ নামে দু’টি সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে রাসেল বিল্লাল নামে এক যুবক ধর্ষণের ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট দিতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের চাপ দিতে শুরু করেন। পাশাপাশি চিকিৎসকদের নামে নানা মিথ্যাচার ও তাদের হেয় করে কথাবার্তা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেও নানা ধরনের অপপ্রচার চালান রাসেল বিল্লাল। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে অশ্লীল গালিগালাজ করেন।

জানা যায়, মোবাইল ফোনে গেমস ও ভিডিও দেখানোর লোভ দেখিয়ে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে নড়াইল পৌরসভার রায়পুর-উজিরপুর এলাকার অপু বিশ্বাস (১৪) নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোর চার বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

অপুর পরিবারের অভিযোগ, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অপুকে ৩০ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন রাসেল বিল্লাহ ও তার সহযোগী সাকিব মোল্লা। কিন্তু চূড়ান্ত মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না থাকলেও ১৪ বছরের প্রতিবন্ধীর বয়স ১৯ বছর দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা সাজানো হয়েছে। ওই মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে অপু বিশ্বাস।