সাইফুর-অর্জুনকে যেভাবে ধরা হলো
সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান ও চার নম্বর আসামি এম. সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সকালে প্রধান আসামি সাইফুরকে সুনামগঞ্জ এবং অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে আসামীদের প্রতি নজর রাখছিলেন পুলিশ। প্রযুক্তির সাহায্যে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, সীমান্ত এলাকার দিকে অবস্থান করছেন আসামি সাইফুর রহমান। হয়তো ভারতে পারি জমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। বিষয়টি অনুসন্ধান করা হয়। অবশেষে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরপরই ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান নেতৃত্বে একটি টিম খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানেই তাকে গ্রফতার করা হয়।
এদিকে ধর্ষনের ঘটনার পর হবিগঞ্জের মাধবপুর পালিয়ে যায় অর্জুন লস্কর সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থা নিয়েছিল সে। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের মনতোলা সীমান্ত থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশের এক সদস্য জানান, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে শুরু থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ। এজন্য সিলেট মহানগর পুলিশের সাতটি টিম বিভিন্ন ধাপে কাজ করেছে। এজন্য প্রাথমিকভাবে সীমান্ত এলাকায় সর্তকবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও মহানগর পুলিশের আওতাধীন সব থানাকে সর্তক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রামের বাড়িতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশের একাধিক টিম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আসামিরা স্থান পরিবর্তন করায় পুলিশ তাদের খোঁজ পাচ্ছিল না। সে সময় আসামীদের গ্রেফতারে নানা কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এজহারে সাইফুর ও অর্জুন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।