কলেজ হোস্টেলে গণধর্ষণ

অপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে দেখার সুযোগ নেই: নাদেল

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও কলেজ গেইট
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও কলেজ গেইট

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তিনি বলেছেন, কলংকজনক এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, মর্মাহত। অপরাধীদের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসে লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। ন্যাক্কারজনক পাশবিক এই ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ ও ব্যাথিত। খুব কষ্ট লাগছে যে, এম সি কলেজের পবিত্র ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম, সেই কলেজে এমন নির্মম জঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত হলো।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে নাদেল বলেন, যে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আমরা সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতাম সেই ছাত্রলীগের নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে। এমন নিষ্ঠুর, নৃশংসতা কোনো শুভবোধসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই আজকের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা হয়ে বলে মনে করেন তিনি। নাদেল বলেন, এমসি কলেজ বারবার কেনো অপরাধের জন্য শিরোনাম হচ্ছে। কারা এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গনের আলোকিত ধারাকে কালিমা লেপন করছে তাও খোঁজা জরুরি। এম সি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে যারা উৎসব করেছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে একই ছাত্রাবাসে এমন অপরাধ করার সাহস পেতোনা এই দুর্বৃত্তরা। অভ্যন্তরিণ কোন্দলে যারা নিজের সহকর্মীদের যারা বিভিন্ন সময় খুন করেছে। তাদের শাস্তি হলে এই অপরাধীরা এমন বিকৃত চিন্তাও করতে পারতো না।

তবে এমসি কলেজের ঘটনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেছেন, আপনারা দেখেছেন অনেক সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করেও অনেকে অনেক ধরনের অপকর্ম করেছে। এসব সুবিধাভোগীরা সংগঠন কিংবা দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

জয় বলেন, এমসি কলেজের ঘটনায় আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের কারো ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোন পদ-পদবী নেই। সেখানে ৭ বছর ধরে সংগঠনটির কোন কমিটিও নেই।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সাথে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। এরপর দুজনকে মারধর করে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাতে ছাত্রাবাস থেকে এই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ