স্বামীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি মুমূর্ষু স্বামীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষক মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব (৪৩) এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী মাশনু আরা বেগম ওরফে শিল্পীকে (৪০) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে মনিপুরীপাড়ায় শিফা ভিলা নামের একটি ফ্ল্যাট থেকে র্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল তাদের গ্রেফতার করে।
র্যাব-২ এর এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভিকটিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মিরপুর থানার মনিপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ধর্ষক মনোয়ার হোসেন সজীব (৪৩) ও তার সহযোগী মাশনু আরা বেগম শিল্পীকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।’
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করান। দায়িত্বরত চিকিৎসক স্বামীর জন্য রক্ত প্রয়োজন এবং জরুরিভাবে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন।
ভুক্তভোগী নারী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে তিন-চারজন পুরুষকে বসা দেখতে পেয়ে রক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব রক্তের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে দুপুর দেড়টার দিকে কৌশলে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে মিরপুরে শিল্পীর বাসায় নিয়ে যান। ওই বাসায় নিয়ে শিল্পীর সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করে মনোয়ার।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী লোকলজ্জার ভয়ে ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখেন। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার স্বামীর মোবাইলে কল করে তারা বলে রক্তের ব্যবস্থা হয়েছে- আপনার স্ত্রীকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দেন। তখন ওই নারী পুনরায় ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে তার স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলেন।
এরপর তারা দুজন র্যাব-২ এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষিতে র্যাব-২ এর একটি দল মনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী শিল্পীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনোয়ার শিল্পীর সহযোগিতায় ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। শিল্পীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় মনোয়ার। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।