স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড
শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিশু আদালতের বিচারক মো. আক্তারজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত রানা মিয়া (২১) নকলা উপজেলার পাঠাকাটা পূর্ব গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে। জামিন নিয়ে পলাতক আসামি রানা মিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, রায়ে অভিযুক্ত রানা মিয়াকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দুটি পৃথক ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন (৩০ বছরের সাজা) এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
মামলার বিবরণীর বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, নকলার পাঠাকাটা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো পাঠাকাটা পূর্ব গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে রানা মিয়া। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রানা মিয়া তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃত স্কুলছাত্রীর জ্যাঠা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার ও অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ ওই বছরের ২৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার বিচারকাজ চলাকালে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে অভিযুক্ত রানা মিয়া পলাতক রয়েছে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় দেয় আদালত।