ধর্ষণ করেন নাজমুলও, লঞ্চের কেবিনে: নতুন মামলায় যা আছে

নাজমুল হাসান
নাজমুল হাসান  © সংগৃহীত

এবার লঞ্চের কেবিনে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-২০১৭ সেশনের এক শিক্ষার্থী। এর আগে গত রোববার একই সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন ওই শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান।

মামলার এজহারে ওই ছাত্রী বলেন, জানুয়ারির ৩ তারিখে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবাবগঞ্জের একটি বাসায় আমাকে ধর্ষণ করে। এই বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর মামুনের সাথে দেখা করিয়ে দেয়া এবং বিষয়টির সমাধান করার কথা বলে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নাজমুল আমাকে সদরঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে সকালের নাস্তা শেষে আমাকে একটি লঞ্চে চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

চাঁদপুর পৌঁছানোর পর সেখানে হাসান আল মামুনকে দেখতে না পেরে আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি নাজমুলকে দ্রুত আমাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলি। ওইদিন বিকেলে ঢাকায় ফেরার জন্য আমরা একটি লঞ্চে উঠি। সেখানে লঞ্চের কেবিনে নাজমুল হাসান সোহাগ আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আমি কান্নাকাটি শুরু করলে আমাকে নষ্টা মেয়ে হিসেবে উপস্থাপন করতে চায় নাজমুল।

পরবর্তীতে নাজমুল হাসান সোহাগ ‘Arohi sima Baishakhi Das’ নামক ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে আমার ফোন নাম্বার বিভিন্ন সেক্সুয়াল গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে গত ২০ জুন আমি বিষয়টি ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও তৎকালীন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে জানাই। তিনি তখন বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে গত ২৪ জুন মীমাংসার কথা বলে নীলক্ষেতে আমার সাথে দেখা করেন। কিন্তু তখন তিনি (নুর) বিষয়টি মীমাংসার কথা অস্বীকার করে আমাকে এই বিষয়ে বেশি কথা বলতে নিষেধ করেন। এটি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের ভক্তদের দিয়ে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করারও হুমকি দেন নুর। পরে আমার নামে কুৎসা রটাতে মো. সাইফুল ইসলাম মো. নাজমুল হুদা ওআব্দুল্লাহ হিল বাকিকে লাগিয়ে দেয়।

মামলার এজহারে ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব স্থানীয় সকলে জানেন। পরিষদের কয়েকজন নেতা আমার বিষয়টি মীমাংসা করতে চাইলেও মামলার বিবাদীরা তাদের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আখ্যা দেন। মামুনের সাথে আমার বিষয়টি মীমাংসের কথা বলে উপরোক্ত বিবাদীগণ আমাকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণে সহায়তা করেন। তাই এই সকল বিবাদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করতে অনুরোধ জানান ওই ছাত্রী।


সর্বশেষ সংবাদ