ডিজির গাড়ি চালানোয় আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে: ড্রাইভার

ড্রাইভার আবদুল মালেক ও সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ
ড্রাইভার আবদুল মালেক ও সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ  © সংগৃহীত

আবদুল মালেক ওরফে বাদল পেশায় একজন গাড়িচালক। চাকরি করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকায় তাঁর দুটি সাততলা ভবন, নির্মাণাধীন একটি দশ তলা ভবন, জমি, গরুর খামার খুঁজে পেয়েছে। তারা বলছে, এখনো এই খোঁজ শেষ হয়নি।

অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকার মামলায় তাকে ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, প্রভাব খাটিয়ে অধিদপ্তরের দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী। এদিকে এক বছর আগেই তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক।

দেখুন: ড্রাইভারের বাসার দরজা-ওয়াশরুমের ছবি ভাইরাল

অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা ২ মামলায় সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মালেককে আদালতে তুলে ১৪ দিনের রিমান্ডে চায় তুরাগ থানা পুলিশ। আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। আইনজীবি বলেন, আসামি অনেক প্রভাবশালী, সে সরকারি ড্রাইভার এসোসিয়েশনের সভাপতি। এই সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তিনি প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন।

শুনানিতে মালেক বলেন, সাবেক ডিজির গাড়ি চালানোয় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাদীর আইনজীবী বলেন, আমরা রিমান্ড মওকুফের আবেদন করেছিলাম, সেটা বাতিল চেয়েছিলাম আদালতের কাছে। কিন্তু আদালত ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আবদুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তররের গাড়ি চালক হিসেবে যোগ দেন ১৯৮২ সালের দিকে। বর্তমানে কাগজে-কলমে তিনি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

র‌্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকা ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সে তার এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে এবং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ