ধর্ষণ মামলাকারী হয়তো ছাত্রলীগের নেত্রী
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লালবাগ থানায় এই মামলা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিচলিত নয় বলে জানিয়েছেন নুরুল হক নুর। নুরের বক্তব্য, আমি এখনও মামলার পুরো বিষয় জানি না। কে এই মামলার বাদী? কারা এর আসামী। এগুলো নিয়ে বিচলিত হতে চাই না। তিনি বলেন, এটা সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। হয়তো মামলাকারী ছাত্রলীগের নেত্রী। তাকে টাকা দেয়ার বিনিময়ে এই মামলাটি করানো হয়েছে।
এক ফেসবুক লাইভে নুর বলেন, ধর্ষণ সেনসেটিভ বিষয়। গ্রেফতার হতে পারি। আমি বলব, জেল না খাটলে তো নেতা হওয়া যায় না। আমরা যেহেতু মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করছি, জেল তো খাটতেই হবে তিনি। বলেন, গ্রেফতার করলে কী করে, বলা তো যায় না। বিএনপির অনেক নেতাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে আল্লাহ না চাইলে কিছুই হবে না। আমরা নীতি-নৈতিকতা ঠিক রেখে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভিপি নুর আলোচিত ছাত্রনেতা। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, মামলা একটা কেন, শতাধিক হবে। ধর্ষণের মামলা হয়েছে, খুনের মামলা হবে। টাকা পাচারের মামলা হয়নি, এটা ভালো খবর।’ তিনি আরো বলেন, ভিপি নুরের চরিত্র হননের জন্য মামলা হবে। ছাত্রলীগ মিছিল করবে, যুবলীগ মাঠে নামবে; এটাই স্বাভাবিক।
নুর ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত হাসান আল মামুন, আর নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে রেপের (ধর্ষণ) মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’