ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা দায় স্বীকার রবিউলের
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাননন্দি দিয়েছেন রবিউল ইসলাম।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ৩টার সময় ইউএনও অফিসের সাবেক মালি আসামি রবিউল ইসলাম দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
এ সময় তিনি জানান, ক্ষোভ থেকে একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং তিনিই একমাত্র পরিকল্পানাকারী, হামলাকারী। এর আগে আজ রবিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় রবিউল ইসলামকে।
জানা গেছে, দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে তোলা হয় রবিউলকে। আদালতে তোলার ৩ ঘণ্টা পর বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন রবিউল। জবানবন্দির পর রবিউলকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী তিনি নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি। তার দেওয়া তথ্যমতে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন- বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৩ সেপ্টেম্বর হেলিকপ্টারে ওয়াহিদাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাবাকেও একই হাসপাতালে আনা হয়।