২০ টাকার বিরোধে যুবলীগ নেতার হাতের আঙুল কেটে নিলো ছাত্রলীগ নেতারা
চায়ের দোকানে ছাত্রলীগ নেতাদের খাওয়ার বিল পরিশোধ করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মুজাহিদুর রহমান অন্তু নামের এক যুবলীগ নেতার হাতের চারটি আঙুল কেটে নিয়েছে সাতক্ষীরার ছাত্রলীগ নেতারা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন ওই যুবলীগ নেতার বাবা।
আহত যুবলীগ নেতা মুজাহিদুর রহমান অন্তু সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইটাগাছা এলাকার আবুল হাসানের ছেলে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত গিয়াজ উদ্দীনের ছেলে ও ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ হোসেন, একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ও শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার বাবু তালুকদারের ছেলে সোহেল রানা।
ঘটনার বিষয়ে আহত যুবলীগ নেতা মুজাহিদুর রহমান অন্তুর বাবা আবুল হাসান জানান, বুধবার সকালে শহরের বাকাঁল এলাকায় রোজ মার্কেটের এক চায়ের দোকানের বিল পরিশোধের জন্য আমার ছেলে মুজাহিদুর রহমান অন্তুর কাছ থেকে ২০ টাকা দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ হোসেন, জাহিদ হোসেন ও সোহেল রানা। তাদের দাবিকৃত ২০ টাকা দেয়ার পরও তাদের সঙ্গে আমার ছেলের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন দুপুরে অন্তু শহরের উদ্দেশ্য রওনা দিলে ছাত্রলীগের নাহিদ, জাহিদ, রানাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন ধারালো অস্ত্রহাতে অন্তুর পথরোধ করে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে।
তাদের অস্ত্রের আঘাতে অন্তুর বাম হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে চামড়ার সাথে ঝুলে থাকে। অন্তুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আছাদুজ্জামান বলেন, আহতের বাবা আবুল হাসান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।