যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে, জিবি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে শোকজ

জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে স্কুলের পরিচালনা কমিটি (জিবি) গঠন এবং ওই কমিটির মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে একই ব্যক্তিকে প্রথমে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এসব ঘটনার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির জিবি ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির জিবি সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি আন্তঃবিভাগীয় কমিটি প্রতিষ্ঠানটিতে তদন্ত করে। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে জিবি সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে বেরিয়ে এসেছে। এর ভিত্তিতে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট  প্রতিষ্ঠানটিতে সর্বশেষ কর্মরত প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফের চাকরি শেষ হয়। বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জিবি একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক আছেন সেগুলোতে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে বোর্ড ২০১৯ সালের ৫ মার্চ নির্দেশ দেয়। এ ক্ষেত্রে সেটাও প্রতিপালন করা হয়নি।

অপর নোটিশে বলা হয়, মনিরুজ্জামান হাওলাদার নিজের প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করলেও বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেননি। আবার যে তারিখে তিনি আবেদন করেন সেই তারিখেই তাকে তড়িঘড়ি সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ আবেদনে এই নিয়োগ যথাযথ হয়নি। এছাড়া অবৈধ জিবির সুপারিশে সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগদানও যথার্থ হয়নি।

বোর্ডের এই শোকজ নোটিশের ব্যাপারে জিবির সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে জিবির নির্বাচন করা হয়েছে। বোর্ড যেটাকে তদন্ত বলছে সেটা কোনো তদন্তই নয়।শিক্ষা বোর্ড শিক্ষক নিয়োগ যাচাইয়ের এখতিয়ার  রাখে না। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্বাচনকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দাবি করে মানহানি করা হয়েছে। এটা অপমানজনক শব্দ। এমন প্রতিবেদনের জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠাব। শোকজের কোনো জবাব দেবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ