বাসে তরুণীকে ধর্ষণ: চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার

  © ফাইল ফটো

কুমিল্লাগামী বাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ত‌বে এ মামলার আরেক আসামি বাসের সুপারভাইজার (৩২) আলম পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বাসের চালক আরিফ হোসেন সোহেল (২৬) ও তার সহযোগী বাবু শেখ (২২)।

সদর দ‌ক্ষিণ থানার ও‌সি নজরুল ইসলাম জানান, মেয়েটি গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আবদুল্লাহপুরে তার জেঠাতো বোনের বাসায় যায়। সোমবার বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বোনের বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসে। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘তিশা প্লাস’ পরিবহনের একটি বাসে করে কুমিল্লা নগরের শাসনগাছার উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই তরুণী।

তিনি জানান, পথে কিন্তু চালক মেয়েটিকে শাসনগাছা বাস স্ট‌্যা‌ন্ডে না নামিয়ে কৌশলে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় নিয়ে যায়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ওই তরুণী শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আবদুল্লাহপুরে তার জেঠাতো বোনের বাসায় যান। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাড়ি ফেরার উদ্দেশে জেঠাতো বোনের বাসা থেকে বের হন। সেখান থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছেন।

ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ‘তিশা প্লাস’ পরিবহনের একটি বাসযোগে কুমিল্লা শহরের শাসনগাছার উদ্দেশে রওনা হন ওই তরুণী। পথে বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে শাসনগাছা বাস স্টেশনে পৌঁছার পর তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে রাখেন। এতে তারা তাকে সেখানে নামিয়ে দেবে এবং এ বিষয়ে টেনশন করতে নিষেধ করে। কিন্তু বাসের চালক ওই তরুণীকে শাসনগাছা বাস স্টেশনে না নামিয়ে কৌশলে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে বাসের চালক আরিফ হোসেন সোহেল, হেলপার বাবু শেখ ও সুপারভাইজার আলম বাসটির দরজা-জানালা বন্ধ করে তরুণীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বাসের চালক আরিফ হোসেন সোহেল বাস থেকে নেমে চলে যায়। এরপর হেলপার বাবু শেখ ও সুপারভাইজার আলম তরুণীকে বাস থেকে নামিয়ে পদুয়ার বাজার এলাকায় বাবু শেখের ঘরে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে। সকাল ৬টার দিকে তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় ঘর থেকে বের করে দিয়ে চলে যেতে বলে। পরে তরুণী মোবাইল ফোনে তার মাকে ঘটনা জানান।


সর্বশেষ সংবাদ