স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আইনজীবী গ্রেফতার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এইচ এম হাবিবুর রহমান নামে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন কালিকাপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন আটোয়ারী থানার ওসি ইজারউদ্দিন।
আজ শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাবিবুর রহমানে আটোয়ারী উপজেলার ধামোড় ইউনিয়নের বারাগাও গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় জেলা আদালতের আইনজীবী।
স্থানীয়রা জানান, আইনজীবী হাবিবের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। সেই সূত্রে হাবিবের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। গত বৃহস্পতিবার ওই স্কুলছাত্রী আত্মীয়র বাড়ি পাশের বারঘাটি এলাকায় বেড়াতে যায়। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে যান হাবিব। হাবিব স্কুলছাত্রীকে জানান, তার বাবা তাকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছেন। তাকে ইজিবাইকে করে আটোয়ারী উপজেলা সদরের কালিকাপুর গ্রামের সুশীলের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় হাবিবকে আটক করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত আইনজীবী এইচ এম হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে সুশীল চন্দ্র ও তার স্ত্রী শুকনিকে আসামি করে আটোয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুজ্জামান বলেন, স্থানীয়রা হাবিবুরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শনিবার পঞ্চগড়ের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।”
আটোয়ারী থানার ওসি ইজারউদ্দিন বলেন, “আইনজীবী হাবিবুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাবিবুরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী পুলিশ প্রহরায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”