০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:২৮

জিনিয়াকে ‘অপহরণকারী’ কে এই লোপা?

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া জিনিয়াকে (৯) উদ্ধারের পর লোপা তালুকদার (৪২) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টিএসসিতে ফুচকা খাইয়ে ও নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার লোপা তালুকদারকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাকে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শাহবাগ থানায় জিনিয়ার মায়ের করা মামলার লোপাকে সাত দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

পরে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তাকে দু’দিন হেফাজতে রাখার আদেশ দেন। গত সোমবার রাতে নারায়নগঞ্জ ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় লোপা তালুকদারকে। এরপর থেকেই তার বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

জানা গেছে, লোপা তালুকদার অনেকেরই পরিচিত। মন্ত্রী, এমপি, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবি তুলেছেন। তিনি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকার পরিচিত মুখ। বড় বড় সাংবাদিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের খবর এখন ভেসে বেড়াচ্ছে।

তাকে গ্রেপ্তারের পর ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুবুর রহমান বলেন, লোপা তালুকদার বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে জিনিয়াকে ফুঁসলিয়ে নারায়নগঞ্জে তার বোনের বাড়িতে রাখে। তার উদ্দেশ্য ভালো ছিল না, খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, তার মাকে না জানিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া তার মা বা কেউ যাতে না জানে সে ব্যবস্থাও নিয়েছে। সেখানে সে রেখেছিল, চেষ্টা করেছে এটা যাতে আর কেউ না জানে। কাজেই অসৎ উদ্দেশ্যেই তাকে নিয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা গেছে, তিনি অগ্নি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এছাড়া আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া নবচেতনার সিনিয়র রিপোর্টার তিনি। মোহনা টিভির সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার বলেও উল্লেখ করেছেন। 

এখানেই শেষ হয় তিনি শীর্ষ টিভির ডিরেক্টর। সাপ্তাহিক শীর্ষ সমাচারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।বাংলাদেশ কবি পরিষদের কবিও তিনি। তিনি নিজেকে সিনিয়র সাংবাদিক ও আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন।

এছাড়া ঢাকা ও পটুয়াখালীসহ আরও কয়েকটি স্থানে গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত বলে ফেসবুক প্রোফাইলে উল্লেখ করেছেন। ফেসবুকে অনেকে জানিয়েছেন, তার নামে অপহরণ, মানব পাচারসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কিন্তু তিনি অবাধে সব জায়গায় বিচরণ করছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও তাৎক্ষনিকভাবে এসব তথ্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।