‘চুরির উদ্দেশ্যে’ ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছেন তিনজন। চুরির উদ্দেশ্যে তারা ওই বাসায় ঢুকেছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় র্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেন, এ ঘটনার মূল আসামি আসাদুল ইসলাম। সে দাবি করেছে- পরিকল্পিতভাবে চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই ইউএনও’র বাসায় তারা ঢুকেছিল। চুরির উদ্দেশ্যে ওই হামলা হয়েছিল। তবে এটা তার নিজস্ব বক্তব্য। এটা নিছক চুরি নাকি অন্য কোনো ঘটনা এই প্রশ্নের সমাধান বা উপসংহারে পৌঁছতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। র্যাব ছায়া তদন্ত করছে। আগামীতেও করবে। তারা এই পর্যায়ে বলছে না এটা কেবলই চুরির ঘটনা।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক বলেন, অভিযুক্তদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিস্কৃত) জাহাঙ্গীরসহ আরও তিনজনকে আটক করা হলেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।
আহত ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে ঢাকার আনা হয়। ওয়াহিদার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াহিদার বাবা নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
রেজা আহমেদ ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, সন্দেহভাজনদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর সিসিটিভি ফুটেজে লাল গেঞ্জি পরিহিত ব্যক্তি তিনি নিজে বলে স্বীকার করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী লাল গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অপর দু.জন নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাই। তারা ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করলেও পরে তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হই।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক জানান, আসাদুলের বক্তব্য অনুযায়ী নবিরুল এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।