২৮ আগস্ট ২০২০, ০৯:০৮

তিন লাখ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন না ছাত্রলীগ নেতারা!

  © সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির শ্রমিক সর্দারের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) শ্রমিক সর্দার মো. সবুজ এমন অভিযোগ করেন।

তিনি তিন লাখ টাকা দিতে চাইলেও বেশি টাকা দাবি করছেন ওই দুই নেতা। ভুক্তভোগী সবুজ শহরের মজুপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালের আত্মীয়। ছাত্রলীগ নেতাদের ভয়ে সবুজ আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, পল্লীবিদ্যুতের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সবুজকে খুঁটি আনা-নেয়ার কাজ দেয়। সেই কাজ তিনি নিয়মিত করছেন। কিন্তু হঠাৎ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে সবুজকে খুঁজতে হানা দেন। এসময় সবুজের কাছে চাঁদা দাবি করেন তারা।

ঘটনাটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বকুলকে জানান। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিন লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা দিতে গেলেও তা নেননি ছাত্রলীগের নেতারা।

ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, টাকার পরিমাণও বাড়াতে হবে। এ নিয়ে বিপাকে পড়ে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও শ্রমিক লীগের আহবায়ক মামুনুর রশিদকে বিষয়টি জানান সবুজ।

পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও অভিযোগ করা হয়। এদিকে চাহিদামতো চাঁদা না পেয়ে শ্রমিকদের থেকে খুঁটিপ্রতি ১০০ টাকা নিচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের অনুসারীরা।

লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে সাহাপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রাখা হয়েছে। সেখান থেকে খুঁটিগুলো নেয়ার সময় শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সবুজ নামে কাউকে চিনি না আমি। কারা চাঁদা চেয়েছে জানি না। আমরা চাঁদা দাবির ঘটনায় জড়িত নই।’

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল এ ব্যাপারে বলেন, ‘ভুক্তভোগী আমার আত্মীয়। দলের সিনিয়র নেতারাও বিষয়টি জেনেছেন। এটি দুঃখজনক।’