২১ আগস্ট ২০২০, ১২:৫৩

সরকারি চাকরি চান ‘আষাঢ়ে গল্পের’ সেই জজ মিয়া

  © সংগৃহীত

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসেন জজ মিয়া। তবে তিনি এখন ভালো নেই। ওই ঘটনার ভুক্তভোগী হিসেবে নিজের পুনর্বাসন চেয়ে ঘুরছেন নানা জায়গায়। এখন গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।

তবে করোনাকালে ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ও রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি চাকরি দেওয়া দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবির কথা জানান তিনি।

জজ মিয়া জানান, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ঘুরেছেন তিনি। তবে আশ্বাস পেলেও সাহায্য পাননি। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে চেয়েছেন। কিন্তু সুযোগ পাননি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও দেখা করতে চান তিনি।

জোট সরকারের আমলে চাপের মুখে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন জজ মিয়া। নোয়াখালীর সেনবাগের গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে ২০০৫ সালের ৯ জুন ঢাকায় আনেন মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ।

জজ মিয়া বলেন, আটকের ছয় দিন পর আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মোট ২৭ দিন সিআইডি কার্যালয়ে তাকে রাখা হয়। নতুন লেপ-তোশক ও বালিশ কেনা হয়, ভালো খাবার দেয়। ২৭ দিন ধরে তাঁকে সেখানে ভয় দেখানো হয় এবং জবানবন্দি মুখস্থ করানো হয়। এরপর আদালতে জবানবন্দি দেওয়ানো হয়।

জজ মিয়ার পরিবারকে প্রতি মাসে খরচের টাকা দিতেন সিআইডির তৎকালীন কর্মকর্তারা। ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এই গল্প ফাঁস হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘আষাঢ়ে গল্প’। ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই মুক্তি পান জজ মিয়া। বর্তমানে থাকেন নারায়ণগঞ্জে।