২০ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪০

ভাইকে ফাঁসাতে মেয়েকে গুম, জেলহাজতে বাবা

শিশু খাদিজা  © সংগৃহীত

নিঃসন্তান বড় ভাইয়ের সম্পত্তি গ্রাস করার পরিকল্পনা ছিল ছোট ভাইদের। সে আলোকে বড় ভাইকে ফাঁসিয়ে স্বার্থোদ্ধারে নিজের শিশুকন্যা খাদিজাকে গুম করে এবার নিজেই ফেঁসে গেলেন ছোট ভাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় শিশুটিকে উদ্ধার করাসহ ছোট ভাই মঈনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ আগস্ট) ভোররাতে কসবা থানার পুলিশ নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে সাত বছরের কন্যাশিশু খাদিজাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বড় ভাই আবুল খায়ের গেদু মিয়ার করা মামলায় ছোট ভাই উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মঈনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানা যায়, আবদুল মালেকের চার ছেলের মধ্যে পৈতৃক ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গেদু মিয়ার সন্তান না থাকায় তার অর্থসম্পদ গ্রাস করতে ছোট তিন ভাই মঈনুল ইসলাম, টেনু মিয়া ও টোকন মিয়া নানা ফন্দিফিকির করতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় তারা মঈনুলের শিশুকন্যা খাদিজাকে লুকিয়ে রেখে গেদু মিয়ার বিরুদ্ধে গুমের মামলা সাজায়। তারা খাদিজাকে গত ১৫ আগস্ট নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে মঈনুলের ভায়রা কামালের বাসায় পাঠিয়ে গ্রামে মাইকিং করে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এছাড়া কসবা থানায় বড় ভাই ও তার স্ত্রীকে আসামি করে গুমের মামলা করে।

এরই মাঝে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাদিজার অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে কসবা থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুল ইসলাম বুধবার ভোরে কামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু খাদিজাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আবুল খায়ের গেদু বাদী হয়ে মামলা করার পর মঈনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্পত্তির লোভেই তার তিন ভাই শিশু খাদিজাকে গুমের নাটক সাজায় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ‘খাদিজার বাবা মঈনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’