০৬ আগস্ট ২০২০, ১৩:১২

ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ সদস্য যেকোনো সময় গ্রেফতার

  © সংগৃহীত

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসসহ ৯ পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় বুধবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দায়ের করা হত্যা মামলার ওই ৯ আসামী যেকোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানা গেছে। অবশ্য পুলিশ বাহিনীর ‘ভয়ঙ্কর কিলার’ খ্যাত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ রাতের অন্ধকারে টেকনাফ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তার বোন শারমিন শাহরিয়া। পরে সেটি টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।

এছাড়া তদন্তভার দেয়া হয় র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ককে। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, মামলাটি রাতে নথিভুক্ত হয়েছে। আইন অনুসারে এ ধরনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। নথিভুক্ত হলেই আসামিদের গ্রেফতারের ক্ষমতা আছে তদন্ত কর্মকর্তার।

সে হিসেবে যেকোনো সময় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ বাকি ৯ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানান তিনি। মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

অন্য আসামিরা হলেন- বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাফানুর করিম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল এবং কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

এদিকে মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের একদিন আগে নিজেকে ‘অসুস্থ’ দাবি করে ছুটিও নেন তিনি। অবশ্য প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করা হয়নি। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এ বি এম দোহাকে থানার ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।