হোটেলে আটকে মাদ্রাসাছাত্রীকে দলবেধে ধর্ষণ
আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৯) দলবেধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সদরের পুরাতন লঞ্চঘাটের হোটেল সৈকত মহলে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার ও ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী গতকাল বৃহস্পতিবার ৬ জনকে আসামি করে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার ৫ জন হলেন- গলাচিপার ছোনখোলা গ্রামের মৃত ইউনুস সরদারের ছেলে মো.শহিদুল সরদার (২৪), চরবিশ্বাস গ্রামের নূর ইসলাম গাজীর ছেলে মো. বশির গাজী (৩২), একই গ্রামের মৃত আদম আলী শিকদারের ছেলে মো. স্বপন শিকদার (৪০), চরআগস্তি গ্রামের যতীন হাওলাদারের ছেলে জীতেন হাওলাদার (৩৫) ও রাঙ্গাবালী উপজেলার চরবেস্টিন গ্রামের মৃত হাতেম আলী ডাক্তারের ছেলে খোকন ডাক্তার (৪০)। মামলার অন্যতম আসামি ওই হোটেলের ম্যানেজার ফারুক হাওলাদার পলাতক রয়েছেন। ফারুক উপজেলার উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেলে ওই মাদ্রাসাছাত্রী গজালিয়া গ্রাম থেকে তার বড় বোনকে ডাক্তার দেখানোর জন্য গলাচিপা উপজেলা শহরে আসেন। আর বড় বোনের আসার কথা ছিল কলাপাড়া উপজেলার সোনাখালী গ্রাম থেকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় বোনের জন্য ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষা করেন ওই তরুণী। কিন্তু বড় বোন না আসায় এক পর্যায়ে তিনি সোনাখালী রওনা হন।
এরই মধ্যে রাত হয়ে যায়। এরপর মামলার এক নম্বর আসামি শহিদুল সরদার রাতে বাড়ি ফিরলে বিপদ হতে পারে- এমন ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ফেরিঘাট থেকে হোটেল সৈকত মহলের সাত নম্বর কক্ষে এনে উঠায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে হোটেল ম্যানেজারের সহায়তায় শহিদুল সরদার সঙ্গীদের নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। গভীর রাতে পুলিশের একটি টহল দলের কাছে গোপন সূত্রে এ খবর পৌঁছায়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হোটেল কক্ষ থেকে পাঁচ ধর্ষককে আটক ও ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবীর জানান, গ্রেপ্তার ৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।