ডা. সাবরিনার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন দুই ডজন প্রভাবশালী
করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতিতে জড়িত জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে রিমান্ডে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের নিকট থেকে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডা. সাবরিনা ও আরিফের মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে প্রায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত ও নজরদারিতে রেখেছেন গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, তাদের নানা তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে, গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ওভাল গ্রুপ ও জেকেজির সাত পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টসহ আরিফ ও সাবরিনার বন্ধু-বান্ধবীরাও রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ তথ্য প্রকাশ করছেন না তারা, সত্যতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আজ রোববার (১৮ জুলাই) একটি জাতীয় দৈনিকে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তারা জানান, অন্যের সিমকার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ডা. সাবরিনা প্রতারণা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ এবং ডা. সাবরিনাকে মুখোমুখি করা হয়।
তাদের দুজনের মুখেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রভাবশালী কর্মকর্তার নাম আসায় দুজনকে সামনাসামনি করে তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। সাবরিনা জানান, আরিফের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরে ওই কর্মকর্তাকে অনিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছেন।
তাকে বলেছিলেন, আমি আর আরিফের সঙ্গে নেই। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, যা হওয়ার তো হয়েছেই, এখন মাথা গরম করা যাবে না। তবে সাহেদ কি বলেছেন, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি সূত্রটি।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাহেদের সঙ্গে ডা. সাবরিনার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তারা পরস্পরকে চিনতেন। নিয়মিত পার্টিতে অংশ নিতেন তারা। সেই পার্টিতে চলত ডিজে ও মাদক। শাহেদ-সাবরিনা ছাড়া আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ ও সাবরিনা চেনা-জানার কথা স্বীকার করেছেন। দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাহেদের নিকট থেকে করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সাবরিনা।